২৪ দফা অগ্রাধিকার কার্যক্রম, ভোট ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচন কমিশন (ইসি) তাদের পূর্ণাঙ্গ রোডম্যাপ ঘোষণা করেছে। এতে সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ, ভোটার তালিকা চূড়ান্তকরণ, রাজনৈতিক দল নিবন্ধন, দেশীয় পর্যবেক্ষক সংস্থার অনুমোদনসহ মোট ২৪টি অগ্রাধিকার কার্যক্রম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ এ রোডম্যাপ ঘোষণা করেন।
ফেব্রুয়ারি প্রথমার্ধে নির্বাচন
ঘোষিত রোডম্যাপ অনুযায়ী, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে চলতি বছরের ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে।
ইসি জানায়, রোডম্যাপ বাস্তবায়নের জন্য ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি নেওয়া শুরু হয়েছে। ভোটার তালিকা হালনাগাদ প্রক্রিয়া প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। এছাড়া প্রযুক্তিগত অবকাঠামো উন্নয়ন, নির্বাচনী আইন বাস্তবায়ন ও প্রশিক্ষণ কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে।
২৪টি অগ্রাধিকারমূলক কাজ
রোডম্যাপে অন্তর্ভুক্ত প্রধান কাজগুলো হলো—
নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য
সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ বলেন, “একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য ইসি অঙ্গীকারবদ্ধ। এ জন্য আইন, প্রক্রিয়া ও প্রযুক্তি— তিনটি দিকেই সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।”
তিনি আরও জানান, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ধারাবাহিক সংলাপের মাধ্যমে নির্বাচনকে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য করার চেষ্টা চলবে।
বিশেষজ্ঞদের মতামত
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ঘোষিত রোডম্যাপ নির্বাচন কমিশনের প্রস্তুতির একটি ইতিবাচক দিক। তবে সফলতা নির্ভর করবে এর বাস্তবায়ন এবং রাজনৈতিক দলগুলোর অংশগ্রহণের ওপর।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক (অব.) আলী রেজা বলেন, “রোডম্যাপ থাকা ভালো, কিন্তু নির্বাচনের বিশ্বাসযোগ্যতা নির্ভর করবে কমিশনের নিরপেক্ষতা ও রাজনৈতিক ঐকমত্যের ওপর।”
সামনে চ্যালেঞ্জ
ইসির ঘোষণার পর এখন মূল চ্যালেঞ্জ হচ্ছে—