জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৬তম প্রয়াণ দিবস আজ
আজ ৩০ আগস্ট, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৬তম মৃত্যুবার্ষিকী।
১৯৭৬ সালের এদিনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে (তৎকালীন পিজি হাসপাতাল) তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
বিদ্রোহী কবি হিসেবে খ্যাত কাজী নজরুল ইসলাম বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতির এক অনন্য প্রতিভা। তিনি একাধারে কবি, সংগীতজ্ঞ, ঔপন্যাসিক, গল্পকার, নাট্যকার, প্রাবন্ধিক, সাংবাদিক, চলচ্চিত্রকার, গায়ক ও অভিনেতা ছিলেন। বাংলা গানে তিনি বৈচিত্র্যময় অসংখ্য রাগ-রাগিনী সৃষ্টি করে সঙ্গীতকে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করেন। জাতীয় কবিকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে সমাহিত করা হয়। এখানেই তিনি চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন।
স্মরণে নানা আয়োজন
কবির মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও পেশাজীবী সংগঠন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।
সকাল ৯টায় আওয়ামী লীগের উদ্যোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ প্রাঙ্গণে কবির সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, ফাতেহা পাঠ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
কবি নজরুল ইনস্টিটিউট বিকাল সাড়ে ৫টায় ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরোবরে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।
বাংলাদেশ বেতার, টেলিভিশন ও বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলসমূহ দিনব্যাপী বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার করবে।
নজরুলের প্রভাব
নজরুল বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম বলেছেন, “নজরুল ইতিহাস ও সময় সচেতন মানুষ ছিলেন। তাঁর লেখায় তুরস্কে কামাল পাশার প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, রাশিয়ার সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব এবং ভারতবর্ষের ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের প্রভাব স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হয়েছে। তিনি ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে মুসলমান সমাজকে পুনর্জাগরণের ডাক দিয়েছিলেন এবং এ ক্ষেত্রে তাঁর ভূমিকা ছিল একজন বলিষ্ঠ নেতার মতো।”
কবির শৈশব
১৩০৬ সালের ১১ জ্যৈষ্ঠ (২৪ মে ১৮৯৯) পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে কবির জন্ম। তাঁর ডাকনাম ছিল ‘দুখু মিয়া’। পিতা কাজী ফকির আহমেদ ও মাতা জাহেদা খাতুনের সন্তান নজরুল কৈশোর থেকেই দুঃখ-কষ্ট ও সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বেড়ে ওঠেন।
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম তাঁর অসামান্য সাহিত্যকর্ম ও সৃষ্টিশীলতায় আজও সমানভাবে প্রাসঙ্গিক। তাঁর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় আজ আবারও স্মরণ করা হচ্ছে এই মহৎ প্রতিভাকে।