বরিশালের আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর তৌহিদ আফ্রিদিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। রোববার (২৪ আগস্ট) দুপুরে বরিশাল নগরীর বাংলাবাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। অভিযানে ঢাকার সিআইডি টিম অংশ নেয় এবং স্থানীয় কোতোয়ালি থানা পুলিশ সহযোগিতা করে।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান গণমাধ্যমকে জানান, “তৌহিদ আফ্রিদির বিরুদ্ধে ঢাকার সিআইডির হাতে গ্রেফতারি পরোয়ানা ছিল। তারা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে।”
হত্যা মামলায় সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ
সিআইডি সূত্রে জানা গেছে, গত জুলাই মাসে সংঘটিত একটি হত্যা মামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে আফ্রিদিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ আগেই কয়েকজনকে আটক করেছিল। তদন্তে আফ্রিদির নাম উঠে আসায় তাকে আইনের আওতায় আনা হয়।
এর আগে, ১৭ আগস্ট “জুলাই রেভ্যুলেশনারি অ্যালায়েন্স (জেআরএ)” নামে একটি সংগঠন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দিয়ে আফ্রিদিকে দ্রুত গ্রেফতারের আলটিমেটাম দেয়। সংগঠনটি দাবি করে, আফ্রিদি শুধু কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবেই সক্রিয় ছিলেন না; অতীতের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডেও তিনি অর্থায়নের মাধ্যমে জড়িত ছিলেন।
সামাজিক মাধ্যমে আলোচনায় আফ্রিদি
জেআরএ তাদের ফেসবুক পেজে লিখেছিল, “কোনো নাটক নয়, সরাসরি গ্রেফতার করতে হবে। আফ্রিদি বাংলাদেশেই আছে, প্রমাণস্বরূপ ছবিও দেওয়া হলো।” এর পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তৌহিদ আফ্রিদির বিরুদ্ধে নানা আলোচনা শুরু হয়।
জনপ্রিয় কনটেন্ট ক্রিয়েটর থেকে বিতর্কিত মুখ
তৌহিদ আফ্রিদি ইউটিউব ও ফেসবুকে নানা ধরনের কনটেন্ট প্রকাশ করে তরুণদের মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মিলিয়ন অনুসারী রয়েছে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে তার নাম বিভিন্ন বিতর্কে উঠে আসে। বিশেষ করে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অর্থায়নের অভিযোগকে ঘিরে তাকে নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা চলছিল।
তদন্ত চলমান
সিআইডি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে তাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে জিজ্ঞাসাবাদের পর তদন্তে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। পুলিশ বলছে, মামলার তদন্তে তার বিরুদ্ধে যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করা হয়েছে।
অন্যদিকে, আফ্রিদির গ্রেফতারকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার ভক্ত ও অনুসারীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। কেউ তার মুক্তি দাবি করছে, আবার কেউ অভিযোগের সত্যতা উদঘাটনের দাবি তুলেছেন।
—